১৯৬৪ সালে তৎকালীন শিবচরের প্রাদেশিক সংসদ সদস্য জনাব মো: মোদাচ্ছের আলী মুন্সী, শিবচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আবদুর রশিদ মল্লিক ও শিবচর নন্দকুমার ইনস্টিটিউশন-এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: সুলতানখানসহ বিভিন্ন সম্মানিত সদস্যকে সাথে নিয়ে ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব শেখ আব্দুর রহমান তাঁর স্বপ্নের কলেজ তৈরির কাজে অগ্রসর হন। ১৯৬৪ সালের ৬ মে শিবচরের পুরাতন নাম ‘বরহামগঞ্জ’ এর নামের সাথে নাম মিলিয়ে প্রস্তাবিত কলেজের নামকরণ করা হয় বরহামগঞ্জ কলেজ। কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় সকল কার্য সম্পাদনে গঠিত কার্য-নির্বাহী কমিটি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ১৯৬৪ সালের ১৫-ই সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে বরহামগঞ্জ কলেজ। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ জনাব শেখ আবদুর রহমান নন্দকুমার ইনস্টিটিউশনে প্রথম ক্লাস চালু করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু মাত্র ছয় মাস পরেই রাজকুমার কুন্ডু নামক জনৈক বিত্তবানের পরিত্যক্ত একটি পুরানো দালান কিনে সেখানেই কলেজের নিজস্ব ভবন প্রতিষ্ঠা করেন। পরিবর্তনের এক পর্যায়ে ১৯৮৭ সালের ৯-ই জুলাই তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ কলেজটিকে জাতীয়করণ করার ঘোষণা দেন। কলেজটি ৩.২.১৯৮৮ তারিখ হতে জাতীয়করণ হলেও জাতীয়করণের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হতে ১৯৯১ সাল এসে যায়। এর পর নতুন উদ্যমে পথ চলা শুরু করে সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজ। কলেজের প্রধান কান্ডারি ড. মো. মেহের-ই-খোদা। তাঁর হাত ধরে অল্প দিনেই কলেজে একটি সুষ্ঠু স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ গড়ে ওঠে। এরপর কলেজটি অনেক সময় পার করেছে, যে সময়ে কলেজটির ছিল অনেক সাফল্য, অনেক ব্যর্থতা। কিন্তু সবকিছুকে পিছনে ফেলে কলেজটি এখন শুধু সামনের দিকে ধাবমান। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর অত্র এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য জনাবনূর-ই-আলম চৌধুরী কলেজটি রউন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে কলেজে ৫ তলাবিশিষ্ট একটি নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে এবং ২টি ছাত্রাবাস নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে কলেজটি আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এবং মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। ৬ তলা বিশিষ্ট একটি নতুন ভবন নির্মাণাধীন ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী (দাদাভাই) কম্পিউটার ল্যাব, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, শেখ আবদুর রহমান ছাত্র কমনরুম।